ডার্ক সার্কেল, বা চোখের নিচের কালো দাগ, একটি অতি সাধারণ ত্বকের সমস্যা। চোখের নীচে কালচে বৃত্ত দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হয়ে যায়, তাই না? ডার্ক সার্কেল শুধু যে আপনার সৌন্দর্য কমিয়ে দেয় তা নয়, অনেক সময় এটি আপনার ক্লান্ত এবং অসুস্থ দেখা যাওয়ার কারণও হতে পারে। ডার্ক সার্কেল নিয়ে অস্বস্তি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু চিন্তা নেই! সঠিক যত্ন আর কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে ডার্ক সার্কেল কী, কেন হয়, এবং এটি দূর করার কার্যকরী উপায়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ডার্ক সার্কেল হলো চোখের নিচের ত্বকের স্বাভাবিক রঙের চেয়ে কালচে হয়ে যাওয়া। সহজ ভাষায়, যখন চোখের নিচের ত্বক সাধারণ ত্বকের চেয়ে গাঢ় রঙের দেখায়, তখন তাকে ডার্ক সার্কেল বলে। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন: ঘুমের অভাব এবং ক্লান্তি: অপর্যাপ্ত ঘুম বা অতিরিক্ত ক্লান্তি ডার্ক সার্কেলের প্রধান কারণ। ঘুমের অভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়, যার ফলে চোখের নিচের রক্তনালীগুলো আরও বেশি দৃশ্যমান হয় এবং ত্বক কালচে দেখায়। বয়স বৃদ্ধি: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডার্ক সার্কেল হওয়া স্বাভাবিক। বয়সের সাথে সাথে ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং কোলাজেন ও ফ্যাট কমতে থাকে। এর ফলে চোখের নিচের রক্তনালীগুলো চামড়ার ওপর দিয়ে আরও স্পষ্ট দেখা যায়, যা ডার্ক সার্কেল সৃষ্টি করে। পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত জল পান না করলে বা ডিহাইড্রেশন হলে ডার্ক সার্কেল দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতার কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায় এবং চোখের নিচে কালি জমে। চোখের উপর চাপ: অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম বা দীর্ঘক্ষণ বই পড়ার কারণে চোখের উপর চাপ পড়লে ডার্ক সার্কেল হতে পারে। চোখের অতিরিক্ত strain এর কারণে রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়, যা ডার্ক সার্কেল রূপে দেখা দেয়। সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার: সূর্যের ক্ষতিকারক UV রশ্মির কারণে মেলানিন উৎপাদন বেড়ে যায়, যা চোখের চারপাশে পিগমেন্টেশন বৃদ্ধি করে এবং ডার্ক সার্কেল তৈরি করে। বংশগত কারণ: ডার্ক সার্কেল বংশগতও হতে পারে। যদি আপনার পরিবারের অন্য সদস্যদের ডার্ক সার্কেল থাকে, তাহলে আপনারও এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অ্যালার্জি: অ্যালার্জি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকেও ডার্ক সার্কেল হতে পারে। অ্যালার্জির কারণে চোখের চারপাশে ফোলাভাব এবং চুলকানি হতে পারে, যা ডার্ক সার্কেল সৃষ্টি করে। ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য কিছু সহজ ও কার্যকরী উপায় রয়েছে, যা আপনি নিয়মিত মেনে চললে উপকার পাবেন। এখানে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ উপায় আলোচনা করা হলো: ডার্ক সার্কেল কমানোর প্রথম এবং প্রধান উপায় হলো পর্যাপ্ত ঘুম। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমের অভাব ডার্ক সার্কেলের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই, ঘুমের সময়সূচী ঠিক করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এটি আপনার শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। ঘুমের পরিবেশ তৈরি: আপনার শোবার ঘর অন্ধকার, ঠান্ডা এবং শান্ত রাখুন। ঘুমের আগে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস বা মানসিক চাপও ডার্ক সার্কেল বাড়াতে পারে। নিয়মিত যোগা, মেডিটেশন বা পছন্দের relaxation technique অনুসরণ করে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন। জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে ডার্ক সার্কেল অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক সার্কেল কমাতে খাদ্য তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন কে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি, পালং শাক, ব্রকলি, এবং বাঁধাকপি ভিটামিন কে-এর ভালো উৎস। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা ডার্ক সার্কেলকে আরও দৃশ্যমান করে তোলে। মাংস, ডিম, এবং আয়রন সমৃদ্ধ সবজি খাদ্য তালিকায় যোগ করুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি: ভিটামিন সি ও ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি, যেমন - কমলা, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, এবং টমেটো ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত জল পান: প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সহায়ক। ঠান্ডা সেঁক চোখের নিচের ফোলাভাব এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে খুবই কার্যকরী। ঠান্ডা তাপমাত্রা রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে, যা ডার্ক সার্কেল দৃশ্যমানতা কমায়। বরফের সেঁক: একটি পরিষ্কার কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ মুড়ে চোখের উপর ৫-১০ মিনিটের জন্য আলতোভাবে ধরুন। দিনে ২-৩ বার এটি করতে পারেন। ঠান্ডা টি ব্যাগ: ব্যবহৃত গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রাখুন। টি-এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাফেইন ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা চামচ: দুটি স্টিলের চামচ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা চামচের উত্তল দিকটি চোখের উপর আলতোভাবে চেপে ধরুন যতক্ষণ না চামচ গরম হয়ে যায়। দিনে কয়েকবার এটি করতে পারেন। প্রকৃতিতে এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার নিচে উল্লেখ করা হলো: আলুর রস: আলুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। আলু গ্রেট করে রস বের করে নিন এবং কটন প্যাডের সাহায্যে চোখের নিচে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। শসার রস: শসা ত্বককে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। শসার স্লাইস কেটে বা রস বের করে চোখের উপর ২০-২৫ মিনিটের জন্য রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ডার্ক সার্কেল কমবে। টমেটোর রস: টমেটোর রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ব্লিচিং প্রোপার্টিজ, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। টমেটোর রসের সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মধু ও বাদাম তেল: মধু এবং বাদাম তেল মিশিয়ে চোখের নিচে ম্যাসাজ করলে ডার্ক সার্কেল কমে এবং ত্বক ময়েশ্চারাইজড থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করা ভালো। নিয়মিত স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চললে ডার্ক সার্কেল উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। একটি সহজ স্কিনকেয়ার রুটিন নিচে দেওয়া হলো: ক্লিনজিং: সকালে ও রাতে হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করুন। চোখের মেকআপ remover ব্যবহার করে আলতোভাবে মেকআপ পরিষ্কার করুন। টোনার: ক্লিনজিং-এর পর একটি হাইড্রেটিং টোনার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের pH ব্যালেন্স করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। সিরাম: ডার্ক সার্কেল কমানোর জন্য ভিটামিন সি, নিয়াসিনামাইড বা ক্যাফেইন সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করুন। সিরাম চোখের নিচের ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয় এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে কার্যকরী। আই ক্রিম: ডার্ক সার্কেল কমানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি আই ক্রিম ব্যবহার করুন। পেপটাইড, ভিটামিন কে, রেটিনল বা হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ আই ক্রিম ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। ময়েশ্চারাইজার: ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখা খুবই জরুরি। হালকা, জল-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যা ত্বককে তেল চিটচিটে না করেই ময়েশ্চারাইজ করবে। বাজারে ডার্ক সার্কেল কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের আই ক্রিম পাওয়া যায়। সঠিক আই ক্রিম বাছাই করে নিয়মিত ব্যবহার করলে ডার্ক সার্কেল কমে যেতে পারে। রেটিনল আই ক্রিম: রেটিনল ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বককে টানটান করে। রেটিনল যুক্ত আই ক্রিম ডার্ক সার্কেল কমাতে খুবই কার্যকরী। তবে, রেটিনল ব্যবহারের শুরুতে ত্বক sensitive হতে পারে, তাই রাতে অল্প পরিমাণে ব্যবহার শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান। ভিটামিন সি আই ক্রিম: ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং ডার্ক সার্কেল কমায়। ভিটামিন সি আই ক্রিম দিনের বেলায় ব্যবহার করা ভালো। পেপটাইড আই ক্রিম: পেপটাইড ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ত্বককে মসৃণ ও তরুণ রাখতে সাহায্য করে। পেপটাইড সমৃদ্ধ আই ক্রিম ডার্ক সার্কেল এবং ফাইন লাইনস কমাতে খুবই উপযোগী। ক্যাফেইন আই ক্রিম: ক্যাফেইন রক্তনালী সংকুচিত করে এবং চোখের নিচের ফোলাভাব ও ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে। সকালে ক্যাফেইন আই ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ডার্ক সার্কেল আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই, বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন: চোখের নিচের ত্বকের জন্য এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটি UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে এবং পিগমেন্টেশন কমাবে। মিনারেল সানস্ক্রিন: সংবেদনশীল ত্বকের জন্য মিনারেল সানস্ক্রিন (যেমন জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড যুক্ত) ব্যবহার করা ভালো। সানগ্লাস ও টুপি ব্যবহার: সূর্যের Direct exposure এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হওয়ার সময় সানগ্লাস এবং টুপি ব্যবহার করুন, যা আপনার চোখের চারপাশের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। মেকআপ ডার্ক সার্কেল সম্পূর্ণরূপে দূর করতে না পারলেও, তাৎক্ষণিকভাবে এটি ঢাকতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ডার্ক সার্কেল দৃশ্যমানতা কমানো যায়। কালার কারেক্টর: ডার্ক সার্কেল ঢাকার জন্য প্রথমে কালার কারেক্টর ব্যবহার করুন। কমলা বা পিচ রঙের কালার কারেক্টর কালচে দাগ ঢাকতে ভালো কাজ করে। কনসিলার: কালার কারেক্টরের পর ত্বকের রঙের সাথে মানানসই কনসিলার ব্যবহার করুন। কনসিলার ডার্ক সার্কেল পুরোপুরি ঢেকে দিতে সাহায্য করবে। হালকা হাতে মেকআপ: চোখের নিচে খুব বেশি মেকআপ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। হালকা হাতে মেকআপ ব্লেন্ড করুন, যাতে এটি স্বাভাবিক দেখায় এবং ত্বকের ছিদ্র বন্ধ না করে। বেশিরভাগ ডার্ক সার্কেল ঘরোয়া উপায় এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমেই কমানো সম্ভব। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হতে পারে: যদি ডার্ক সার্কেল হঠাৎ করে দেখা দেয় এবং অন্যান্য উপসর্গ থাকে, যেমন - ব্যথা, ফোলাভাব, বা চুলকানি ইত্যাদি। যদি ঘরোয়া চিকিৎসায় কোনো উন্নতি না হয় এবং ডার্ক সার্কেল দিন দিন আরও বাড়তে থাকে। যদি ডার্ক সার্কেলের কারণে আপনার দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা হয় এবং আপনি অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হন। ডাক্তার আপনার ত্বকের ধরন ও সমস্যার কারণ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন। প্রয়োজনে, ডার্মাটোলজিস্ট আপনাকে কিছু মেডিকেল ট্রিটমেন্ট, যেমন - লেজার থেরাপি বা কেমিক্যাল পিলিং-এর পরামর্শ দিতে পারেন। ডার্ক সার্কেল সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা হয়তো সম্ভব নয়, বিশেষ করে বংশগত কারণে হলে। তবে, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এর প্রকোপ কমানো যেতে পারে: পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন: ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান এবং পর্যাপ্ত জল পান করুন। চোখের উপর চাপ কমান: স্ক্রিন টাইম কমান এবং কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিন। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান এবং রোদ এড়িয়ে চলুন। অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকুন: যদি অ্যালার্জি থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসা নিন এবং অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলুন। উত্তর: ডার্ক সার্কেল সম্পূর্ণরূপে দূর করা সম্ভব কিনা তা ডার্ক সার্কেলের কারণ এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে। বংশগত ডার্ক সার্কেল সম্পূর্ণরূপে দূর করা কঠিন হতে পারে, তবে সঠিক যত্ন ও চিকিৎসায় এর দৃশ্যমানতা অনেক কমানো সম্ভব। জীবনযাত্রা ও যত্নের মাধ্যমে বেশিরভাগ ডার্ক সার্কেল কমিয়ে আনা যায়। উত্তর: ডার্ক সার্কেল ঢাকার জন্য কালার কারেক্টর এবং কনসিলার সেরা। প্রথমে কমলা বা পিচ রঙের কালার কারেক্টর ব্যবহার করে ডার্ক সার্কেলের কালচে ভাব neutralise করুন, তারপর ত্বকের রঙের সাথে মানানসই কনসিলার ব্যবহার করে ডার্ক সার্কেল ঢেকে দিন। হালকা ও লিকুইড কনসিলার ব্যবহার করাই ভালো। উত্তর: ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি ডার্ক সার্কেলের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ভিটামিন কে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল করে ও কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর: ছেলেদের ডার্ক সার্কেল হওয়ার কারণগুলো মেয়েদের মতোই। যেমন - ঘুমের অভাব, স্ট্রেস, বংশগত কারণ, পানিশূন্যতা, এবং সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার ইত্যাদি। জীবনযাত্রা এবং যত্নের অভাবে ছেলেদেরও ডার্ক সার্কেল হতে পারে। উত্তর: কম বয়সে ডার্ক সার্কেল হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো - পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম, পানিশূন্যতা, অপুষ্টি, এবং বংশগত কারণ। অ্যালার্জি এবং কিছু medical condition ও কম বয়সে ডার্ক সার্কেল সৃষ্টি করতে পারে। ডার্ক সার্কেল একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, এটি নিয়ে অস্বস্তি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে সঠিক যত্ন, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, এবং কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করে ডার্ক সার্কেল কমানো সম্ভব। নিয়মিত স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলুন, পর্যাপ্ত ঘুমান, স্বাস্থ্যকর খাবার খান, এবং রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করুন। যদি সমস্যা গুরুতর হয়, তবে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। মনে রাখবেন, একটু ধৈর্য এবং সঠিক যত্নের মাধ্যমে আপনিও পেতে পারেন ডার্ক সার্কেল-মুক্ত উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত চোখ।৯ দিনেই চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়
ডার্ক সার্কেল কী এবং কেন হয়?
ডার্ক সার্কেল দূর করার ৯টি কার্যকরী উপায়
১. পর্যাপ্ত ঘুম এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন
২. সঠিক খাদ্যাভ্যাস
৩. ঠান্ডা সেঁক (কোল্ড কম্প্রেস):
৪. ডার্ক সার্কেল কমানোর জন্য ঘরোয়া প্রতিকার:
৫. ডার্ক সার্কেল কমানোর জন্য স্কিনকেয়ার রুটিন:
৬. আই ক্রিম ব্যবহার:
৭. সানস্ক্রিন ব্যবহার:
৮. মেকআপের সঠিক ব্যবহার:
৯. কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে?
ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধের উপায়
সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQs):
প্রশ্ন ১. ডার্ক সার্কেল কি সম্পূর্ণরূপে দূর করা সম্ভব?
প্রশ্ন ২. ডার্ক সার্কেল ঢাকার জন্য সেরা মেকআপ কোনটি?
প্রশ্ন ৩. ডার্ক সার্কেলের জন্য কোন ভিটামিন ভালো?
প্রশ্ন ৪. ছেলেদের ডার্ক সার্কেল কেন হয়?
প্রশ্ন ৫. কম বয়সে ডার্ক সার্কেল হওয়ার কারণ কী?
উপসংহার:
0 Items৳ 0
৯ দিনেই চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়
চোখের নিচে কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল একটি সাধারণ সমস্যা এবং বেশিরভাগ সময় এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবু চোখের নিচের কালো দাগ নিয়ে আমাদের অনেক সময় অনেক চিন্তা হয়। কারণ অতিরিক্ত ভাবে চোখের নিচে কালো দাগ, আমাদের চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলে। চলুন আজ জেনে নেই চোখের নিচে কালো দাগের কারণ এবং সেগুলি কীভাবে দূর করা যায়।